দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৬১ হলো।
করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত ৫ জনের বিস্তারিত কোন তথ্য অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানানো হয়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২৬ জনের নমুনা আইইডিসিআর পরীক্ষা করেছে। আইইডিসিআরের বাইরে পরীক্ষা করা ৩ জনের নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ছয়জন মারা গেছেন এবং ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন। অর্থাৎ এ মুহুর্তে চিকিৎসাধীন আছেন ২৯ জন।
চিকিৎসাধীনদের মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ২২ জন ও বাড়িতে পূর্ণ পর্যবেক্ষণে আছেন ৭ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে এবং ৫৪৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে।
নতুন ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং ১০ জনকে আইসোলেশন থেকে ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আইসোলেশনে রয়েছেন মোট ৮২ জন।
আইইডিসিআর বলেছে, নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের আইসোলেশন শুরু হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন আমাদের দেশে ১৪ থেকে ১৫টি জায়গায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নয়টি এবং ঢাকার বাইরে পাঁচটি ল্যাব প্রস্তুত রয়েছে। আরও পরীক্ষার জায়গা বাড়ানোর কাজ চলছে বলে জানানো হয়।
যাঁরা সন্দেহ করছেন যে পরীক্ষা করা জরুরি, তাঁদের পরীক্ষার জন্য আসার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ।
এপ্রিল মাস শেষ হওয়ার আগেই সারাদেশের মোট ২৮টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা সম্ভব হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচারক।
আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বড় হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত যে অ্যাম্বুলেন্স আছে, সেগুলো ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন করোনাভাইরাস ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে ব্যক্তি পর্যায়ের সতর্কতা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিটসের কোনো সংকট নেই। যাঁরা বাইরে যাবেন, তাঁরা মুখে মাস্ক পরে যাবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলুন। আমাদের কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছে। তাদের মানুষের পাশে দাঁড়তে বলব। তা না হলে পরবর্তী সময়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, “একজন ব্যক্তি এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারেন। আমরা যদি বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পড়ি, বিদেশ থেকে আসা বা ভাইরাস আক্রান্ত হলে যদি সাবধানতা অবলম্বন করি, বারবার হাত ধুই, হ্যান্ডশেক না করি – তাহলে সবচেয়ে সহজে এই ভাইরাস ছড়ানো রোধ করা সম্ভব।”
সূত্রঃ www.corona.gov.bd
গতকাল পর্যন্ত কারান্ত ছিল ৫৬ জন। বিস্তারিত…..